আজ মঙ্গলবার, ১১ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৬শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

জাতি সরকারের প্রতিহিংসার শিকার হচ্ছে- আবুল কালাম

জাতি সরকারের প্রতিহিংসার

 

নিজস্ব প্রতিবেদক:
মহানগর বিএনপির সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য এড. আবুল কালাম বলেছেন, সরকারের জুলুম নির্যাতনের অবসান হবে প্রয়োজনে আবার দেশে গণতন্ত্র পুণরুদ্ধারে যুদ্ধ করবো তখন জনগনকে দাবিয়ে রাখতে পারবেন না। ক্ষমতায় কেউ চিরস্থায়ী না এখনও সময় আছে মানুষের অধিকার ফিরিয়ে দিন সুষ্ঠ নির্বাচনের পরিবেশ সৃষ্টি করুন। সোমবার (৯ জুলাই) বিকেলে নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাব সংলগ্ন এলাকায় খালেদা জিয়ার সু-চিকিৎসা ও মুক্তির দাবীতে মহানগর বিএনপির প্রতিকী অনশন কর্মসূচী পালন কালে তিনি এসব কথা বলেন।
সংগঠনের সভাপতি ও সাবেক সাংসদ এড. আবুল কালাম এর সভাপতিত্বে ও সাংগঠনিক সম্পাদক এড. আবু আল ইউসুফ খান টিপুর সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য রাখেন, মহানগর বিএনপির এড. জাকির হোসেন, হাজী নুরু উদ্দিন, ফখরুল ইসলাম মজনু, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আওলাদ হোসেন, বিএনপি নেতা এড. রফিক আহম্মেদ, মহানগর শ্রমিক দলের যুগ্ম-আহবায়ক মনির মল্লিক, স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা মাকিদ মোস্তাকিম শিপলু।
এ সময় সভাপতির বক্তব্যে এড. আবুল কালাম আরও বলেন, স্বাধীনতা যুদ্ধের পর দেশে এক নায়কতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে যেমন বাকশাল কায়েম করে ছিলো। কিন্তু জনগন সেই নিল নকশা মেনে নেয়নি। ঠিক তেমনি মানুষের অধিকার পুণরুদ্ধারে আবারও রাজপথে নামবে। এখনও সময় আছে জুলুম নির্যাতন বন্ধ করে দেশে ন্যায় প্রতিষ্ঠা করুন। স্বচ্ছ নির্বাচন হলে দেশের বৃহত্তম দল বিএনপি সরকার গঠন করে এটা আওয়ামীলীগের প্রথম ভয়। আপনারা ক্ষমতায় তাহলে কেন বিএনপিকে নিষিদ্ধ করছেন না। এটা আপনারা করতে পারবেন না কারন বাঙ্গালী জাতির অধিকার প্রতিষ্ঠায় একমাত্র বিএনপি রাজপথে থেকে আন্দোলন করে আর পাশে থাকে আপামর জনতা। বিএনপি এদেশের খেটে খাওয়া মেহনতি মানুষের দল। তাই বিএনপির পাশাপাশি জাতি আজ সরকারের প্রতিহিংসার শিকার হচ্ছে। যখন সরকারের পায়ের তলায় মাটি থাকে না তখনই জুলুম নির্যাতনের মাত্রা বেড়ে যায়। আর বিএনপির নেতারা জনগনের পক্ষে কথা বলে বিধায় তাদেরকে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানী ও গ্রেফতার করা হয়। রাষ্ট্রের ৩টি স্থান আজ নষ্ট হয়ে গেছে, বিচার ব্যবস্থা সরকার দ্বারা নিয়ন্ত্রিত যার কারনে মিথ্যা মামলার শিকার হয়ে দেশনেত্রী মুক্তি পাচ্ছে না। এই জুলুম অত্যাচারের জবাব জনগন সঠিক সময় দিবে। তখন আপনাদের অস্তিত্ব খুঁজে পাবেন না। তাই এখনও সময় আছে জনগনের মৌলিক চাহিদা, ভোটাধিকার, ফিরিয়ে দিয়ে জনগনের সেবায় নিয়োজিত হন। যে উদ্দেশ্যে দেশ স্বাধীন হয়ে ছিলো সেটা এখন ভুলুণ্ঠিত। এদেশে বৃটিশরা টিকতে পারেনি, পাকিস্তানীদের মত বর্বররা দামাল ছেলেদের কাছে পরাজিত হয়েছে আপনারাও হবেন। সেটা এখন সময়ের ব্যপার তখন পালাবার পথ পাবেন না।
এ সময় তিনি আরও বলেন, আমাদের নির্বাচনের প্রথম শর্ত দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি, আমরা কোন দাবী করছিনা জনগনের অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে চাইছি। আপনারা জনগনের ভোটে নির্বাচিত সরকার না যার ফলে এদেশের মানুষকে নিয়ে আপনাদের কোন মাথা ব্যাথা নেই। যদি তা হতো তাহলে ক্ষমতার লোভে মানুষের উপর জুলুম নির্যাতনের বুলডুজার চালাতেন না। আমরা এই অনশন কর্মসূচী থেকে আহবান করছি দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সু-চিকিৎসার ব্যবস্থা করুন, সেই সাথে অনতিবিলম্বে তাকে মিথ্যা মামলা থেকে অব্যাহতি দিন।
এড. জাকির হোসেন বলেন, কোটা আন্দোলনে ছাত্রলীগ নামধারী সন্ত্রসীরা হামলা করেছে আর প্রশাসন সেখানে রেফারীর ভূমিকা পালন করেছে। আমি সরকারকে বলে দিতে চাই দেশে এতো উন্নয়ন করেছেন বলে আপনারা দাবী করছেন তাহলে সুষ্ঠ নির্বাচন দিতে আপনারদের ভয় কিসের। প্রশাসনকে উদ্দেশ্য করে বলেন, আমাদের একবার সুযোগ দিয়ে দেখুন নারায়ণগঞ্জে কোন আওয়ামীলীগ খুঁজে পাবেন না। আপনারা জনগনের সেবক হয়ে কারো পক্ষে কাজ করবেন না।
এ সময় দলে বিশৃংখলাকারীদের উদ্দেশ্যে এড. জাকির বলেন, নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপি মানেই এড. আবুল কালাম ও এটিএম কামাল আমরা তাদের নেতৃত্বে কাজ করে যাচ্ছি। যারা এর বাহিরে কাজ করছে তারা সরকারের দালাল ওদেরকে চিহ্নিত করে রাখুন এরা দলের শত্রু।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন, বিএনপি নেতা হাজী ফারুক হোসেন, হাফিজুর রহমান, জাহাঙ্গীর মিয়াজী, নজরুল ইসলাম সরদার, আল আরিফ, শওকত আলী লিটন, ফেরদৌসুর রহমান, আলী আকবর,মধু, যুবদল নেতা নাজমুল হক রানা, স্বপন আহম্মেদ, মহানগর ছাত্রদলের সহ-সভাপতি শফিকুল ইসলাম শফিক, আলতাব, মোক্তাধির হৃদয়, জিসান, শাহজাহান, ইমরান, অভি, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক সাখাওয়াত হোসেন রানা, সাংগঠনিক সম্পাদক অহিদুল ইসলাম ছক্কু, যুগ্মসম্পাদক জিয়াউর রহমান জিয়া,আব্দুল হাসিব, সাইফুল ইসলাম বাবু, দুলাল হোসেন, আব্দুর রশিদ হাওলাদার, রাব্বী হোসেন, রাজু আহম্মেদ, জাহিদ প্রধান প্রমূখ।